অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :বিশ্ব বলদর্পী শক্তির ওপর বিজয় অর্জনের চাবিকাঠি হলো ঐক্য। সমগ্র ইরানজুড়ে আজ বিশ্ব কুদস দিবসের শোভাযাত্রা শেষে গৃহীত বিবৃতিতে ওই অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: ইমাম খোমেনির (রহ) বিচক্ষণ নেতৃত্বে ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পার হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দূরদর্শী রাজনীতির সুবাদে দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় এ অঞ্চলে আমেরিকার সকল অশুভ নীতি-কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। হোয়াইট হাউস এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা ইহুদিবাদীদের জন্য স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা তৈরি করতে চেয়েছিল। তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে এবং নয়া প্রতিরোধ ফ্রন্টের মুখে দখলদার ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠির পতন ত্বরান্বিত হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ব কুদস দিবসের শোভাযাত্রা
এবারের বিশ্ব কুদস দিবসের মিছিলের প্রতিপাদ্য ছিল: বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্ত করা, ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ’ এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালী করা। মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতিকে বলদর্পী শক্তির ওপর বিজয় ও তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার চাবিকাঠি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে: ইহুদিবাদ বিরোধী প্রতিরোধকে সমর্থন ও সহায়তা বৃদ্ধি করাই ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। সেইসঙ্গে বিশ্বের যে প্রান্তেই ফিলিস্তিনীরা বসবাস করছে তাদেরকে নিজেদের ভূখণ্ডে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তারপর ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত নির্ধারণে সেখানে গণভোটের আয়োজন করার কথাও বলা হয়েছে।
রোজাদার ইরানি জনতা বিশ্ব কুদস দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে মাসজিদুল আকসায় এতেকাফকারী মুসল্লিদের ওপর ইহুদিবাদী সেনাদের বর্বর হামলার নিন্দা জানায়। তাদের ওই পাশবিক হামলার ঘটনায় বিশ্ববাসীর নিরবতারও নিন্দা জানানো হয়েছে। তার পাশাপাশি জাতিসংঘে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সদস্যপদ বিলুপ্তিরও দাবি জানানো হয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মহান প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) এর উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে আন্তর্জাতিক কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকেই বিশ্বব্যাপী ওই কুদস দিবস পালিত হয়ে আসছে।
Leave a Reply